ই-কমার্স বিজনেস এ বাজার বিশ্লেষণ

ই-কমার্স

ই-কমার্স বিজনেস এ বাজার বিশ্লেষণ টা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা এমন একটা বিষয় যা এগিয়ে রাখে কয়েকধাপ। এমন কি নতুন বিজনেসের শুরুতে যদি এই বিষয় টা নিয়ে ধারণা থাকে তাহলে এটা পরবর্তীতে খুব ই হেল্পফুল হয়।

বাজার বিশ্লেষণ এমন একটা গবেষণা যার ফলে কোন একটা ব্যবসার শুরুতে ই ধারণা নেয়া যায় যে সেই ব্যবসার গ্রাহক কারা হতে পারে।

অনেক সময় হয় যে শুরুতে ই বিশেষ কিছু পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করা হয় কিন্তু সেই পণ্যের তেমন চাহিদা নেই বা আমার আসলে যারা ক্রেতা তারা এই পণ্যে আগ্রহী নয়, তখন শুরুতে ই একটা বড় ধাক্কা খেতে হয়৷ এই ধাক্কা টা যেন না খেতে হয় ঠিক সেই জন্য ই পণ্যের বাজার বিশ্লেষণ খুব বেশি প্রয়োজন।

আমার যারা ক্রেতা হতে পারে তাদের বয়স কেমন, তারা কেমন জব করে, তাদের স্যালারি কেমন, তারা কি টাইপ পণ্য কিনতে পারে এই জিনিস গুলো বাজার বিশ্লেষণ এর মাঝে পরে।

ইভেন ব্যবসার যে কোন স্টেজে ই বাজার বিশ্লেষণ করা যেতে পারে৷ এর ফলে কোন নতুন পণ্য আনলে তা চলবে কি না বা ডিমান্ড কেমন হতে পারে সেসব নিয়ে ও ধারণা পাওয়া যায়।

কেন করবো আমরা বাজার বিশ্লেষণ:

◑ কাস্টমার এর চাহিদা বুঝা যায়।

◑ সম্ভাব্য ক্রেতা কারা হতে পারে তা ও বুঝা যায়।

◑ বাজার বিশ্লেষণ এর ফলে ঝুকি কমে যায়।

◑ মার্কেটিং প্ল্যান নিয়ে ধারণা হয়, বিভিন্ন ব্যাক আপ প্ল্যান মাথায় থাকে।

◑ আমি যে পণ্য ঠিক করেছি, কারা এই পণ্য নিয়ে কাজ করে, তাদের ক্রেতা কেমন, প্রাইস কেমন হলে বেশি ক্রেতা আগ্রহী হয় সেসব নিয়ে ধারণা হয়।

◑ কমপিটিটর দের নিয়ে যদি আগে থেকে ই একটা ধারণা থাকে বা তাদের কোন পণ্যের সেল কম বা বেশি সেসব নিয়ে ধারণা থাকলে ও তা নিজের ব্যবসায় কাজে লাগানো যায়।

☞ কিভাবে আমরা বাজার বিশ্লেষণ করবো?

◑ অনেক সময় ই কিন্তু এমন হয় যে বড় কোম্পানি কোন একটা পণ্য আনতেছে তা অনেল সময় ফ্রি তে বিতরণ করে একটা এরিয়া তে। সাপোজ লাক্স সাবান এর কোন নতুন ভার্সন আসলো তা ফ্রি তে বিতরণ করে হয়তো কিছুদিন পর এসে তারা ডাটা কালেক্ট লরে, ফিডব্যাক নেয়। ঠিক তেমনি যারা নতুন তাদের যেহেতু এই পসিবিলিটি নেই তাই নিজে অনেক এরিয়া তে গিয়ে গিয়ে নিজের সম্ভাব্য কিছু পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের মতামত শোনা যেতে পারে৷ ক্রেতাদের ইনফরমেশন গুলো সংগ্রহ করে রেখে পরবর্তী তে এগুলো মাথায় রেখে ই এগুনো যাবে। প্ল্যানিং এ এসব খুব হেল্পফুল। প্রাইমারিলি এইভাবে ইনফরমেশন নেয়া যেতে পারে।

◑ অথবা তথ্য সেকেন্ডারিলি ও সংগ্রহ করা যায়। যেমনঃ ক্রেতাদের বা যারা ক্রেতা হতে পারে এমন অনেক ইনফরমেশন অনলাইন বা অফলাইন এর মাধ্যমে, নিজে বা অন্যকে দিয়ে কালেক্ট করা যেতে পারে। তা হতে পারে বভিন্ন পত্রিকা র মাধ্যমে বা বিভিন্ন জার্নাল এ বিজ্ঞাপন দিয়ে যেখানে গ্রাহক রা ফ্রি লি তাদের ইনফরমেশন দিতে পারবে। সেরকম কিছু মাধ্যম থেকে ডাটা সংগ্রহ করে ও ডিসিশন নেয়া যায়।

ই-কমার্স এ বাজার বিশ্লেষণ এর কিছু প্রক্রিয়া আছে, যার মাধ্যমে সহজে ই বাজার বিশ্লেষণ করা যায়। যেমনঃ

Google Trends:

গুগল ট্রেন্ড সের মাধ্যমে খুব সহজে কোন পণ্য বেশি চলতেছে, ক্রেতা কোন পণ্য বেশি সার্চ করেছে তা নিয়ে ধারণা পাওয়া যায়।

Facebook insights:

ফেসবুক এ আমরা যদি বিজনেস নিয়ে কিছু পোস্ট করি, বা প্রশ্নোত্তর বা মতামত জানতে চাই তাহলে ও কিন্তু বুঝা যায় কোন পণ্যে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।

এবং নিজের গন্ডির ভেতরে কারা ক্রেতা হতে পারে, তাদের বয়স কেমন তারা কি টাইপ পণ্য পছন্দ করছে তা খুব সহজে ই এভাবে বুঝা যায়

ফেসবুক পেজ এ আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের হয়তো পোস্ট দিয়ে থাকি। এর মাঝে কোন পণ্যের পোস্ট টি বেশি রীচ করেছে, লাইক কমেন্ট হয়েছে,, মোট কথা কোন পণ্যের রীচ বেশি হয়েছে এর উপর ডিপেন্ড করে ও আমরা ক্রেতা চাহিদা নিয়ে সুন্দর ধারণা নিতে পারি।

আরও পড়ুন:


Facebook ads:

ফেসবুকে আমরা এড দিতে পারি। এই এড দিয়ে যেহেতু তা অনেকের কাছে পৌছানো সম্ভব, খুব সহজে ধারণা হতে প্রে যে কোন পণ্যে বেশি রেসপন্স পাওয়া গেলো।ঠিক এভাবে ই টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এ আইডি থাকলে সেখান থেকে ও বাজার বিশ্লেষণ করা যায়।

Customer Feedback:

অবশ্যই আমাদের চলতি বিজনেস হলে সেখানে এসব ক্রেতা আছে তাদের মতামত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। পোল ইউজ করে বা পোস্ট আকারে কমেন্ট বিনিময় করে কিংবা মেইল অথবা মেসেজ এর মাধ্যমে ক্রেতাদের ফিডব্যাক নেয়া যেতে পারে যা খুব ইফেকটিভ একটা মাধ্যম পণ্যের বাজার বিশ্লেষণ এর।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments