আমরা কেন সাহিত্য পড়বো ? কেন আমরা কিশোর ক্ল্যাসিক পড়বো ?

ডিএসবি'র হোমওয়ার্ক

পড়াশুনা নিয়ে এত প্রশ্ন আসতে পারে এসব ভেবে অবাক হলেও এটাই সত্য যে অনেক রকম প্রশ্ন ই আসে। জীবনে ভালো কিছু করা মানে সবাই সার্টিফিকেট অর্জন এর পড়াশুনা কে বুঝলেও আসলে জীবন আসলেই অর্থবহ হয় বেশি বেশি বই পড়লে।

এসব নিয়েই খুব ই ছোট্ট কিন্তু অনেক বেশি মিনিংফুল কিছু কথা বলেছেন Scotty McLennan. যিনি একজন মিনিস্টার, একজন আইনজীবী, একজন পাবলিক স্পিকার, অধ্যাপক এবং এডমিনিস্ট্রেটর স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির৷ এই ইউনিভার্সিটি উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপ এর জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। এখান থেকে ৭৪ জন বিলিয়নিয়র তৈরি হয়েছেন, যারা এখনো।আছেন, এরপর ও আরো তো আছেই। এছাড়া ও এদের বাৎসরিক রাজস্ব ৭.৪ ট্রিলিয়ন এর ও বেশি।

এমন একজন ব্যক্তিত্ত্ব যিনি বিজনেস এর সাথে সাহিত্য পড়া কে সংযোগ করেছেন তার এই Great Literature for Great Leaders শিরোনাম এর ভিডিও টি তে।

খুব ই সুন্দরভাবে তিনি নিজে থেকেই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যা শুধু আমাদের দেশে না হয়তো সব দেশেই সাহিত্য বা সিলেবাস এর বই এর বাহিরে বই পড়লে এমন শুনতে হয়

তার লেকচার থেকে যা বুঝেছি এখানে নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করছি

What can Business Leaders Learn from Great Literature?

বিজনেস লীডার বা যারা নিজের স্টার্টআপ পরিচালনা করেন তাদের জন্য সাহিত্য পাঠ অনেক বেশি জরুরী। কেউ যদি বিজনেস রিলেটেড পড়াশুনা করে থাকেন, উচ্চতর ডিগ্রী ও নিয়ে থাকেন এই বিষয়ে তাদের ও সাহিত্য পড়া প্রয়োজন। কেননা, বিজনের এর পড়াশুনার ক্ষেত্রে সফল কোন বিজনেসম্যান এর জীবনী পড়তে হয় কিংবা তাদের নিয়ে কেস স্টাডি ও করতে হয়, কিন্তু তা শুধু মাত্র কর্মক্ষেত্র রিলেটেড। অথচ আমরা যখন কোন একটা সাহিত্য পড়ি কিংবা যখন সফল ব্যক্তি কে নিয়ে লেখা সাহিত্যের ভঙ্গিতে পড়ি তখন সেখানে শুধু তার কর্মক্ষেত্র রিলেট থাকেনা।

তার পারসোনাল লাইফ এর বিভিন্ন চড়াই উৎড়াই, তার পার্টনার, বন্ধু বান্ধব, ছেলে মেয়ে সহ সবার সাথে তাদের ডিলিংস গুলো আমরা উপলব্ধি করতে পারি শুধুমাত্র সাহিত্যের মাধ্যমে। যা কখনোই কেস স্টাডি করে সম্ভব না।

আমরা যখন সাহিত্য পড়ি, বিভিন্ন সিচুয়েশনে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে সামঞ্জস্য করতে পারি৷ এর ফলে আমাদের নিজেদের জীবনে অনেক জটিল সময়ে কি ডিসিশন নিবো বা কি নেয়া উচিৎ তা সহজেই ভাবতে পারি।

বিজনেস এর ক্ষেত্রে আমরা কি ডিসিশন কোন সময় নিচ্ছি তা কিন্তু ভীষণ ই গুরুত্বপূর্ণ। পরপর কয়েকটা ভালো সিদ্ধান্ত যেমন আমাদের অনেক এগিয়ে রাখতে পারে, সামনে নিয়ে যেতে পারে তেমনি পরপর কিছু ভুল ডিসিশন আমাদের একবারে থামিয়ে দিতে পারে৷ তাই সঠিক সময়ের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত তৈরিতে ও হেল্প করে সাহিত্য এবং সাহিত্যের বিভিন্ন চরিত্র যা জীবন থেকেই নেয়া।

What’s a Novel Every Business Student should read?

এই জায়গাটায় প্রফেসর Scotty McLennan একটি বই সাজেস্ট করেছেন যেখানে লেখক Scott Fitzgerald তার মৃত্যুর আগে লিখেছিলেন। যদিও এটি একটি অসমাপ্ত বই, তিনি মৃত্যুর আগে তা শেষ করতে পারেন নি৷ তবে বইটাতে যে মেসেজ ছিলো ঠিক সে কারণেই বইটা এত গুরুত্ব পেয়েছেন। ছোট্ট একটু সারমর্মেই মনে হলো বইটা কতটা মোটিভেশনাল হতে পারে৷

The Last Tycoon বইটি তে মেইন চরিত্র ছিলো একজন হলিউড প্রডিউসার এর, যিনি তার সারাটা জীবন শুধু কাজের পিছনে ব্যয় করেছেন। তার জীবন বলতে তিনি ষ্টুডিও, ম্যুভি, বাজেট, নায়ক, নায়িকা এসব ছিলো৷ তাই তো তিনি সফল ও হয়েছিলেন। জীবনের ৩৫ বছরেই তিনি পেয়েছিলেন অনেক কিছুই যা কাজ পাগল না হলে একদম ই সম্ভব ছিলো না।

কিন্তু….

কাজের জায়গাতে এত সফল হলেও পারিবারিক জীবনে টানাপোড়ন ছিলোই৷ কর্মক্ষেত্রে সফলতা, অতিরিক্ত ব্যস্ততা তাকে দূরে রেখেছিলো তার পারিবারিক জীবন থেকে। তার স্ত্রী মারা গেলে তিনি প্রেম এর সম্পর্কে ও জড়ান কিন্তু কোন সম্পর্ক যত্ন বা সময় দেয়া ছাড়া শেষ অব্দি টিকে থাকতে পারেনা৷ যদিও তার কাছে সবকিছুর থেকে প্রায়োরিটি ছিলো তার কাজ। এই কাজের জন্য ডাক্তার এটাও বলেছিলেন যে এত কাজ করলে তাকে মারা ই যেতে হবে কিন্তু তারপর ও তারপর ও তিনি কাজে ডেডিকেটেড ছিলেন।

এই বইটি, The Last Tycoon পড়ে পাঠক কিন্তু প্রডিউসার চরিত্র টি কে দুইভাবে ব্যাখা করতে পারেন৷

একদিকে যেমন তিনি হতে পারেন সফল ব্যক্তিত্ত্ব যা সব সময় সবার অনুকরণীয়, কাজের প্রতি কিভাবে কতটা লেগে থাকলে জীবনে সফল হওয়া সম্ভব তা যেমন পাঠক অনুধাবন করতে পারে, অন্যদিকে আরেক ভাবেও ভাবা যায় যে সে নিজের পারসোনাল জীবনে একদম ই ব্যালেন্স করতে পারেনি, যার কারণে এই জায়গায় তিনি ব্যর্থ।

এই যে জীবনের দুইটা দিক, এগুলো সম্পর্কে বিশদে জানা সম্ভব কিংবা উপলব্ধি করা সম্ভব শুধুমাত্র সাহিত্য পড়ে যা আমাদের ক্যারিয়ার এর বিভিন্ন দিকে নিজেদের মানসিকতা উন্নত করতে পারে৷ জীবনের যেকোন ক্ষেত্রেই দুইটা দিক থাকে৷ পজিটিভ বা নেগেটিভ৷ কিংবা আমরা অনেক সময় ই কিছু করতে গেলে হাজারবার ভাবি এটা করলে কি হতে পারে, না করলে কি হতে পারে৷ কিন্তু যা যেভাবেই ভাবি না কেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে হলো আমরা কখন কি করবো৷ এই জায়গাগুলোর বিকাশ সাধন হয় সাহিত্য পড়লে।

আমাদের স্যার কে নিয়েই যদি আমরা ভাবি নিজের জীবনের সব কিছু স্যাক্রিফাইস করেছেন শুধুমাত্র ভালো কিছু করার জন্য। মানুষের জন্য৷ আজ হাজারো লাখো মানুষ স্যার কে সন্মান করি, স্যার এর জন্য জীবন পাল্টে গেছে কত কত মানুষের। এদিক থেকে স্যার সফল কিন্তু নিজের জীবনের ক্ষতি করতে হয়েছে, অসুস্থতায় পড়তে হয়েছে, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে

আমরা আমাদের দুইদিকের জীবনের ব্যালেন্স কিংবা জীবনের টানা পোড়ন কিংবা জীবনের বেশ কিছু ক্ষেত্রে সিচুয়েশন অনেক ভাবে ভাবা, তার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবা খুব ই জরুরী, যার বিকাশ সাধন হয় সাহিত্যের মাধ্যমে।

Is it really possible to have it all in work and life?

এখানে Scotty কিছু দারুণ কথা বলেছেন। খুব ভালো লেগেছে। তিনি বলেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বা নির্দিষ্ট পিরিয়ড সময়ের মাঝে আমাদের অনেক কিছু না, লিমিটেড কিছুকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করা উচিৎ।

আমাদের নিজেদের কাছে কোনটা প্রায়োরিটি পায় সেদিকটাতে ই এফোর্ট দেয়া উচিৎ এবং অন্যসব দিক ব্যালেন্স এর চেষ্টা। তাহলেই কাজ এবং জীবনে সুন্দর ব্যালেন্স থাকে। যে ব্যাপার টা ভালো থাকার জন্য খুব জরুরী। যেমন কাজ করতে হবে তেমনি কাজের পাশাপাশি পারসোনাল লাইফ কে ও যদি ব্যালেন্স করতে পারি তবেই জীবনের সুন্দর একটা মানে খুঁজে পাওয়া সমভব৷

বিশ্বের একটা সফল ইউনিভার্সিটি Stanford, এখান থেকে বের হয়ে ক্যারিয়ার এ সফল হয় সবাই কিন্তু তারপর ও এখানের স্টুডেন্ট কিংবা সকলের উদ্দেশ্যে ই তিনি বলেছেন যে আমরা আজ থেকে ১০, ১৫, ২০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই ঠিক সেই মত কাজ করতে হবে৷ আমরা বয়স্ক হবো, পরিবার বেবি সবকিছুকে সাথে নিয়েই ভাবতে হবে ভবিষ্যতের কথা৷

ভবিষ্যত কে ভেবেচিন্তে যেদিকে আগানো যায় সেদিকে অবশ্যই সব ব্যালেন্স করে ভালোভাবে লাইফ লীড করা সম্ভব।

Why it’s important to read classic books more than once?

একটা বই একবার পড়ার সুযোগ হয়না, সেখানে স্পীকার এক বই কয়েকবার পড়ার কথা বলেছেন। কারণ, আমরা একই বই কিংবা একই জিনিস জীবনে যে স্টেজে ই পড়িনা কেন, প্রতিবার পড়তে কিন্তু আলাদা মেসেজ পাই, আলাদা ভাবে ভাবি৷ এটাই বাস্তবতা৷ একই বই অথচ প্রথমবার এর তুলনায় পরেরবার আমরা বেশি গভীরে ঢুকি এবং অন্যকিছু আহোরণ করি।

ভিডিও টি তে তিনি একটি বই এর নাম বলেছেন তা হলো The great Gatsby, এই বই একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র পড়ে যা ভাববে ভার্সিটি পড়ুয়া একজন ছাত্র কিন্তু অব্যভাবে ভাববে, আবার চাকরিজীবনে পড়ে যা ভাববে চাকরী জীবন শেষে রিটায়ার্ড হয়ে অন্যভাবে ভাববে। এই বইটা একটা উদাহরণ হলেও আমরা জানি যে এমন হাজারো বই এর ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে৷ বয়সভেদে, সিচুয়েশন ভেদে বই থেকে মেসেজ নেয়ার ধরণ টা পরিবর্তিত হতে থাকে৷ তাই অবশ্যই একই সাহিত্য বারবার পড়া উচিৎ। চরিত্রের বা ঘটনার বিভিন্ন সময়ের বিশ্লেষণ গুলো বিভিন্ন ভাবে ধরা দেয় আমাদের কাছে৷

What are some other books on the essential reading list?

American Dream books গুলোর মধ্যে তিনি কিছু সাজেস্ট করেছেন। যেমনঃ।।

◑ Great Gatsby by F.Scott FitzGerald,

◑ The last Tycoon by F Scott FitzGerald

◑ Death of the sales man by Arthur Miller

◑ All my Sons by Arthur Miller.

◑ Flannary O’ Connor এর কিছু ছোট গল্প আছে,

◑ Jane smiley যিনি ছিলেন একজন সেনসিটিভ লেখক তার বই।

আসলে বেশি বেশি বই মানে বেশি প্রশ্নের উত্তর, জীবনের মানে খুঁকে পাওয়া সেটা জীবনকে আমরা যে দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখিনা কেন। তাই এইসব বই সব বেশি বেশি বই পড়ার কথা তিনি বলেছেন।

What’s the greatest business lesson literature has to offer?

সাহিত্য আমাদের বিজনেস শেখায়৷ সিরিয়াসলি স্কট এর এই ভিডিওতে বলা প্রতিটি কথাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এইক্ষত্রে তিনি লম্বা সময় টিকে থাকার ক্ষেত্রেও সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

আল্টিমেটলি আমাদের বিজনেস এর প্রাণ কারা?

ক্রেতা..

তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের সফট কর্ণার থাকতে হবে। তাদের কে ভ্যালু দিতে হবে, সাহিত্যের প্রতিটা চরিত্র যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আমাদের বিজিনেস এর সাথে যুক্ত সব মানুষ গুলোও। নিজের কর্মীদের প্রতি যেমন কেয়ারিং হতে হবে তেমনি ক্রেতাদের প্রতি।

সবাই ভালোবাসা চায়, একটু যত্ন চায়, এই একটু যত্নের কারণেই ক্রেতা রা বারবার রিপিট ক্রেতা হয়। ক্রেতা রা ভালো পণ্য পেয়েও অনেক সময় আর ফিরেও তাকায় না যদি না বিক্রেতার ব্যবহার ভালো না হয়। একটু খানি ভালো ব্যবহার এ তারা একবার না বারবার ফিরে আসে সেই বিক্রেতার কাছে। এগুলোই বিজিনেস এ এক্সট্রা ভ্যালু এড করে৷

শেষের এই উত্তরে প্রফেসর আল্টিমেটলি সাহিত্যের যে অংশ বিজনেসকে দীর্ঘ সময় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে সেটার কথাই বলেছেন। আর এই ব্যাপারটা হচ্ছে ভালোবাসা। অর্থাৎ বিজনেসের সাথে সম্পর্কিত প্রত্যেকটা সম্পর্ককে সর্বোচ্চ ভ্যালু দিতে হবে, তাদের ভালোবাসতে হবে, আন্তরিক একটা সম্পর্ক তৈরী করতে হবে।

আমরা আন্তরিক হতে পারবো, বিভিন্ন ক্রেতাদের বা সহকর্মীদের তখন ই এনালাইসিস করতে পারবো তা তাদের চাহিদা গুলো বুঝতে পারবো, গুরুত্ব দিতে পারবো যখন আমরা অনেক সাহিত্য পড়বো। । সাহিত্য মানেই অনেক চরিত্র সম্বন্ধে জানা, তাদের বিশ্লেষণ করা শুধু তাই নয় আল্টিমেটলি নিজেদের মাঝে এমন মনোভাব গড়ে উঠে। সাহিত্যের প্রতিফলন ঘটে আমাদের বিজনেস এই সরাসরি।

আমাদের Razib Ahmed স্যার সব কিশোর ক্ল্যাসিক পড়ে ফেলেছিলেন ক্লাস এইট এ থাকতেই৷ তার চিন্তা ভাবনা এবং আমাদের চিন্তাভাবনার মাঝে বিস্তর পার্থক্য কিন্তু স্যার এর পড়ার অভ্যাস এর জন্যই সম্ভব৷ এত পড়েছেন, ছোটবেলা থেকেই পড়েছেন, কোন যদি কিন্তু ছাড়াই পড়েছেন, মাঝে মাঝে আমি ভাবি স্যার কি জানেন না, স্যার এত কিছু আগে থেকেই বুঝেন, চরিত্রের এত্ত সুন্দর বিশ্লেষণ করতে পারেন, সব ই সম্ভব হয়েছে তার বিভিন্ন দিকের পড়াশুনার জন্য৷ আর আমাদের স্যার কিন্তু মেন্টর মানেন কিশোর ক্ল্যাসিক এর বইগুলো৷ তাহলে এগুলো পড়া কতটা জরুরী তা সহজেই অনুমেয়।

বিজনেস লাইফ কিংবা পারসোনাল লাইফ প্রতি পদক্ষেপ এ ঘটনা বোঝা, ব্যালেন্স করে চলা, সিচুয়েশন বোঝা এবং উপযুক্ত ডিসিশন নেয়া আমাদের জন্য খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই আমরা কেন সাহিত্য পড়বো বা সাহিত্য কি করে আমাদের জীবনকে রিলেট করে এবং কিভাবে সাহিত্য আমাদের বিজনেস এ প্রভাব ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না আসলে, অনেক বেশি পড়াশুনা যারা করে, সাহিত্যের সাথে যারা রিলেট থাকে, তারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের পরিবর্তন গুলো প্রতিনিয়ত ফিল করতে পারে।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments