স্টোরি টেলিং কি ? কিভাবে করবো ?

ডিএসবি'র হোমওয়ার্ক

ডিএসবি তে ওয়ার্কশপ এর ২২ নং হোমওয়ার্ক ছিলো How To Tell a story…একটা আর্টিকেল ছিলো এটি।। দুপুরের আগে একবার পড়ে প্রোগ্রাম এটেন্ড করলাম। এরপর এসে ফ্রেশ হয়ে ই মনে হলো আগে পড়াশুনা করি। কেননা এখন না হলে পরে রিডিং চ্যালেঞ্জ পড়া হবে না।

আসুন জেনে নেই স্টোরি টেলিং কিভাবে করবো তার কিছু উপায়….

◑◑আমরা কিন্তু সব সময় পণ্যের উপস্থাপন এর জন্য কিছু একটা লিখি কিন্তু সব লেখা কি অর্ডিয়েন্স কে টাচ করে? অথবা আমরা সব সময় আমাদের এমপ্লোয়িদের কিছু বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু বুঝাতে পারিনা। ফল্ট কোথায় তাহলে?

চলুন জেনে নেই কিছু স্টোরি টেলিং এর টিপ্স যা আমাদের জানা খুব বেশি জরুরীঃ

☞ স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে আমরা কিছু একটা মেসেজ দিবো অবশ্যই কিন্তু কাদের দিবো সেই মেসেজ আমরা কি তা জানি? আগে জানতে হবে মেসেজ টি কাদের জন্য এবং কি মেসেজ দিবো।

যখন আমরা এই দুটো বিষয়ে ক্লিয়ার থাকবো তখন আমরা কনফিডেন্টলি অনেক কিছুই খুব প্রয়োজনীয় মেসেজ তাদের দিতে পারবো।

এখানে Sacs একটা বিষয় খুব সুন্দরভাবে বলেছেন যে আলোচনা করতে হবে টীম এর সাথে। সকল বিজনেস এ ব্যর্থতা আসে কিন্তু সেইসব ব্যর্থতা দমে যাওয়ার কারণ হতে পারেনা এটা অবশ্যই জুনিয়র দের বুঝাতে হবে। সিনিয়র রা মেনে নিতে না চাইলে ও তাদের ও বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে কেননা রিস্ক না নিলে বিজনেস এ সামনে এগুনো সম্ভব না।

☞ আমরা যদি কিছু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এটা হবে সবথেকে বেস্ট স্টোরি টেলিং। আমি যখন উইতে প্রথম আসি, একজনের পোস্ট এর গল্প আমার মন ছুয়ে যেত আর তিনি হলেন Sirajum Munira আপু। কেন? কারণ আপুকে দেখতাম নিজের অভিজ্ঞতা গুলোকে গল্পের আকারে লিখছেন। হয়ে গেলোতো সুন্দর স্টোরি টেলিং……এবং আমি আপুর লেখা খুজে খুজে পড়তাম, এখন আপুর রিপিট ক্রেতা আমি, ভালো লাগার শুরু কিন্তু আপুর পোস্ট গুলো ই ছিলো।

☞ গল্পে ইমোশোন মোড় থাকলে তা খুব সহজেই টাচ করে অর্ডিয়েন্স কে। তাই নিজের জীবনের ইমোশোনাল গল্প হত্র পারে স্টোরি টেলিং এর বড় হাতিয়ার।

আমি অমুক, আমি তমুক এই সেই.. কেউ বললে আমরা কি ভাবি??ভেবে ই নেই যে অতিরিক্ত বলে.. ভেবে নেই যে নিজের ঢোল নিজে পিটাচ্ছে… হ্যা মুই কি হনু টাইপ গল্প লরা যাবেনা। অর্থাৎ গল্পের কেন্দ্রীয় ফিগার হওয়া যাবে কিন্তু হিরো না।

হূমায়ুন আহমেদ এর কোন গল্পের নায়ক কি তিনি ছিলেন? ঠিক সেভাবে ই ভাবতে হবে।

নিজেকে ঘিড়ে আবর্তিত কাহিনী কিন্তু নিজে ই সব না।

☞ আমরা যখন ক্রেতা কে ফোকাস করবো বা অন্য কাউকে তখন কিন্তু গল্প অর্ডিয়েন্স বিশ্বাস করবে অনেক বেশি কেননা তা সত্যতা প্রমাণ করানোর দরকার পরেনা। তা সত্য ই।

◑◑ আপনার সক্ষমতা কতটুকু? কতটুকু চ্যালেঞ্জ নিতে পারি আমরা? কতটা স্ট্রাগল করতেছি আমরা??? আচ্ছা এই জিনিস গুলোকে হাইলাইট করলে স্টোরি কতটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে ভাবা যায়???

ইভেন কর্মীদের নিয়ে ও খুব সহজে কাজ করা যায় যখন কাজকে চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সহজে উপস্থাপন করা যায়।। পারবোনা বা হবেনা না কর্মীদের ও সব সময় বিশ্বাস করাতে হবে যে আমাদের দিয়ে ই হবে৷ ইয়েস, তাহলে ই হবে৷ কেননা বিশ্বাস এ ই অর্ধেক কাজ হয়ে থাকে

☞ অনেক কঠিন পড়া আমরা এড়িয়ে চলি, অনেক কঠিন পোস্ট আমরা স্কিপ করি, এটা আমাদের ন্যাচার।। অবশ্যই সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

◑◑ যা না তা ও বলে অতিরঞ্জিত করার দরকার আছে কি??? Kakoly Russell Talokder আপু জামদানী নিয়ে কাজ করেন। আপু কিন্ত জামদানীর যত্ন ও খুব সুন্দর ভাবে বলেন। এমন যদি হয় যে আপু চ্যালেঞ্জ দিবেন যে আমার জামদানী আপনারা পানিতে ও ভিজাতে পারবেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো যে জামদানী পানিতে ভিজালেই নষ্ট ফলশ্রুতিতে কিন্তু কিছুদিন পরেই বিশ্বাস ভেংগে যেত। আপু খুব সুন্দর তথ্য দিয়ে জামদানী কে ফুটিয়ে তুলছেন আমরা এজন্যই তা বিশ্বাস করছি।

মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত কিছু না, সত্য সহজে বললে অবশ্যই তার বিশ্বস্ততা বেশি থাকে।

☞ এর কিছুর পরে ও যদি মনে হয় যে না পারবোনা, স্টোরি টেলিং আমাকে দিয়ে হবেনা তবে বলবো প্রাকটিস করুন। প্রাকটিস করলে মানুষ পারেনা এমন কিছুই নেই। স্টোরি টেলিং নিয়ে চর্চা করলে তা অবশ্যই ধীরে ধীরে বেটার হয়।

বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে ই প্রাকটিস হতে পারে। তবে হ্যা এই আর্টিকেল এ বলা হয়েছে প্রতিদিন এক্সট্রা ৩ মিনিট স্টোরি টেলং এ দেয়ার ফলে তার আমূল পরিবর্তন হতে পারে যা নিজে ই ফিল করা যাবে ১ মাস পর বা এক বছর পর তো আরো ভালো কিছু হবে।

◑◑অর্ডিয়েন্স রা তখন ই বেশি আসক্ত হবে যখন অনুপ্রেরণা খুজে পাবে। তাদের সল্যুশনস খুজে পাবে৷ তাই যে মেসজ ই আমরা দেই তাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলোকে বিবেচণা করেই এগুতে হবে।।।।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments